করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে কীভাবে চলবে, তা ঠিক করলেও কবে নাগাদ খুলবে, তা ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে রোববার এক ভার্চুয়াল সভায় একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এদিনই তিনি সংসদে বলেছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এখন শুধু দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন ক্লাসে যাবে।
৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
তার ওই বক্তব্যের পর গত বছর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার আলোচনা শুরু হয়।
পরে শিক্ষা দিবসে সভায় দীপু মনি বলেন, “এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে… শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরত যেতে পারবে এই রকমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাক সেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে।
“আমরা তখন সেই সময়ের অবস্থা দেখে, জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শমতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেব- আমরা কি ৪ ফেব্রুয়ারির পরই একেবারে সাথে সাথে যেদিন প্রথম সপ্তাহ শুরু হবে তখন শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে আসব, নাকি আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।”
আগামী এসএসসি-এইচএসসির সিলেবাস ছোট করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
“যেন তারা তিন বা চার মধ্যে মধ্যে সেটা শেষ করতে পারে। তাদেরকে প্রতিদিন ক্লাস করানো হবে। যখন স্কুল খুলব, তখন তারা সপ্তাহে পাঁচ-ছয় দিন ক্লাস করবে। আর বাকিরা আমরা ঠিক করেছি সপ্তাহে একদিন করে আসবে। যাতে নিরাপদ দূরত্ব, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারি।”
বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি তুলে যারা বাংলাদেশেও তা করতে বলেছেন, সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মনে রাখতে হবে যে আমাদের দেশে ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি, প্রায়ই তাদের অনেক ক্ষেত্রে গাদাগাদি করে বসতে হয়। যেটি কোভিড পরিস্থিতিতে একেবারেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
“কাজেই আমরা সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছি, যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল দিক তারা মেনে চলতে পারেন। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি করে দিয়েছি, কেন্দ্র থেকেও মনিটর করবে।